মোহাম্মদ শফিক,কক্সবাজার :

কক্সবাজারে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকলেও মানছেন না অসাধু ব্যবসায়ী। অনেক দোকানে মূল্য তালিকা নেই। ইচ্ছেমতো প্রত্যেকটি পণ্যের পিছনে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ প্রবণতা পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরাবাজারে আরো ভয়াবহ। পাশাপাশি একেক দোকানে একেক দর। শুক্রবার (২জুন) কক্সবাজার শহরে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় মাংস বিক্রেতা মুরগি বিক্রেতা ও কয়েকটি মূদি দোকানে অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট সাইমা হাসান, ও জেলা মার্কেটিং অফিসার শাহজাহান আলী। অভিযানে সহযোগিতা করেন পুলিশ সদস্য।

ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ আইনের ২০০৯ এর ২৬ ও ৩৮ ধারায় শহরের কালুর দোকানে ও পুরাতন পিটিআইস্কুল কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী মাংস ব্যবসায়ী শামসুল আলম, আনু মিয়া, হুমায়ুন আহম্মদ, বাবুলু মিয়া, নুরুল আবছারের দোকানে মূল্য তালিকা ও বেচা-বিক্রিতে অনিয়ম পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট আইনে তাদের সাড়ে ৫হাজার টাকা জরিমানা করে। অন্যন্য ব্যবসায়ীকে সর্তক করেন আদালত। এছাড়া পিটিআই স্কুল কাঁচাবাজার মুরুগি ব্যবসায়ী মুজিব ও কামাল কে অফিস চলাকালিন সময়ে জেলা প্রশাসন অফিসে তলব করেন আদালত।

এদিকে জেলা ভোক্তাধিকার ও সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী। জানান, জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের চরম গাফলেতি রয়েছে। মাংস ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের আতাত থাকায় তারা সারা বছরতো মাংসের দাম যা ইচ্ছেমতো বিক্রি করছে পবিত্র রমজান মাসেও তারা কোন ধরণের মাংসের দাম কমায়নি। এটি সাধরণ ভোক্তাদের সাথে চরম সাথে হয়রানি করা হচ্ছে।

শহরের কালোর দোকানের হাসান আলী, রুমালিয়ার ছড়ার হানিফ, শিক্ষিকা রুমেনা আক্তার জানান, বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাদের বাজার পরিদর্শনে চরম অবহেলা রয়েছে। এ সুযোগে আসুধ বিক্রিতারা যা ইচ্ছে বিক্রি করে থাকে। তারা অফিসে বসে কাগজে কলমে বাজার মনিটরিং করলেও বাস্তবে তাদেরকে দেখা মিলে না।